অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কীভাবে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করা যায়, সে বিষয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিন্তা করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, ‘স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হলে মানসম্মত শিক্ষার বিকল্প নেই। এ জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মুক্তবুদ্ধির চর্চা করবে এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করবে।’
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল শিক্ষার প্রসারে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে। এতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বয়স বিবেচ্য হওয়া উচিৎ নয় জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমরা বলছি শিক্ষা হবে এখন জীবনমুখী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় দেশের জনগণের টাকায় চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার দেয়ালগুলো তুলে দিতে হবে। যে কোনো বয়সে, যেকোনো মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। পরীক্ষা দিয়ে সবাই যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেই এখানে পড়তে আসবেন। তার বয়স কুড়ি না পঞ্চাশ, সেটাতো বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিগত ৫০ বছরের অগ্রযাত্রায় আমরা গর্বিত। দেশ-বিদেশে এ বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকগণ সাফল্য অর্জন করে বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন।
উপাচার্য এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরে বলেন, শীঘ্রই ছাত্র এবং ছাত্রীদের ১টি করে নতুন ২টি হলের উদ্বোধন করা হবে। নতুন হলে শিক্ষার্থী উঠানোর পর এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘গণরুম’ সংস্কৃতি উঠে যাবে।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এসময় নতুন হলের নামকরণে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ কামনা করেন।
জবির জহির রায়হান মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাহমিনা ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ, পদার্থবিজ্ঞান এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. এ. মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আজাদ আল মামুন। এর আগে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সামনে শিক্ষামন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধন করেন।
এ সময় ৫০ পাউন্ড ওজনের কেক কাটা হয়। এরপর এক বর্ণাঢ্য র্যালিসহ অতিথিরা জহির রায়হান মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা শেষে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠেন।
Leave a Reply